সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

তোমার প্রতীক্ষায়
জোনাকী আক্তার 


ভুলে গিয়ে সব অভিমান
ফিরে কি আসা যায় না একটিবার ?
বিনিময়ে চাইবোনা কোনো প্রতিদান
ভালোবাসায় ভরিয়ে দেবো হৃদয় তোমার ।


তোমার আমার মাঝে গড়ে ওঠা
বিভেদের দেওয়াল চূর্ণ করে
আবারো কি এক হওয়া যায় না সখা
দু'টি দেহের এক আত্মার সমন্বয় চিরতরে ।


ছেড়ে যাওয়া হাতটি আবারো ধরে
যায়না কি হাঁটা একি পথে ?
ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্ন আবারো সাজিয়ে
দু'জনে মিলে যায় না পারি জমানো জীবনের রথে ?


যেভাবেই পারো ফিরে আসো তুমি
দিনমান কেটে যায় তোমায় ভেবে ,
তোমার প্রতীক্ষায় রয়েছি আমি
না ফেরা অবধি তোমার ভালোবাসা তোমারি রবে ।

শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

ভালোবাসার বিষবাণ
জোনাকী আক্তার


যদি নাই থাকো তুমি পাশে
কি হবে বলো, তোমার প্রতি অভিমান করে ?
তোমার মিছে ভালোবাসার অন্তরালে জড়িয়ে ,
তোমায় ভেবে একাকীত্বের কষ্ট পেয়ে ?

তবে কি হবে বলো -
যদি তুমি হাতটি না ধরো
তোমার পাণে ভালোবাসার হাতটি বাড়িয়ে ।
তোমার ফিরে আসার পথ চেয়ে

দিনের পর দিন অপেক্ষার প্রহর গুণে ।
কি হবে বলো , রঙিন সুতায় স্বপ্ন বুনে
যদি তুমিই না থাকো
স্বপ্নরাজ্যের স্বপ্ন কুমার হয়ে ।

অদেখা আঁখি জল
জোনাকী আক্তার


যাচ্ছে কেটে সময় যে যার মত
একি ছাদের নিচে থেকেও কেউ কারো নয় ,
চক্ষুযুগলে চেপে রাখা অভিমান
ঠোঁটের কোণে ফুটে ওঠা শুষ্ক হাসিটাই ম্রিয়মান ॥
লোক চক্ষু সম্মুখে পাশে থাকার অভিনয়
মনের দূরত্বটা আকাশ-পাতালের ন্যায় ,
দিবা আলোয় বসে কত শত স্বজনের মেলা
নিশিত রজনীতে করে নিসঙ্গতার খেলা ।
যাচ্ছে কেটে দিন যে যার মত
একি ছাদের নিচে থেকেও কেউ কারো নয় ,
বিষন্নতার ছোঁয়ায় একাকার হৃদয় -
সব কিছু ভুলে তবুও খোঁজে একটু প্রণয় ।
হয়তো কেউ বুঝে ,কেউবা না বুঝার করে ভান
বাড়িয়ে চলে মনের দূরত্ব করে অতিক্রম সব পিছুটান ,
মাঝের দেওয়াল হয় আকাশ সম
পারেনা কেউ কারো হতে ক্ষণিকের ভ্রম ।

রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬



খেলা ঘর
জোনাকী আক্তার



আধো আলো আধো ছায়ায়
মেতে আছি এক নির্মম খেলায় !
কখনো হারিয়ে ফেলি নিজেকে
অন্ধকারের নিষ্ঠুর ছোবলে,
কখনো সম্বিত ফিরে পাই
মায়াবী ভালোবাসার ক্ষীণ আভায়


আধো আলো আধো ছায়ায়
মেতে আছি এক নির্মম খেলায় !
দূরের মানুষকে কাছে টেনে নিয়ে ,
কাছের মানুষকে দেয় দূরে সরিয়ে
শুধু একটু ভালো থাকার অভিপ্রায়ে,
দিবা-রাত্রি ব্যস্ত ভালোবাসার অভিনয়ে


আধো আলো আধো ছায়ায়
মেতে আছি এক নির্মম খেলায় !
কারো চোখের জল ঘুচাতে
অবিরত ঝরিয়েছি অন্যের চোখে জল
কখনো ভুল শুধরে নিতে
স্বীয় স্বত্তা ডুবেছে ভুলের অতলে






রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬


বেথাতুর হৃদয়ের কান্না
জোনাকী আক্তার


বেলা শেষে নেমে আসা গোধূলী লগ্নে
ইচ্ছে করে সব ব্যথা ভুলে
বসে তোমার পাশে স্বনিপুনে ,
হারাবো তোমার মাঝে কল্প কথার ছলে ।

ফিরবে চেতন তোমার আলতো পরশে
কোথায় হারালে বলবে হেসে ,
আনমনা আমি কিছু বলতে গিয়েও হয়তো হবে না বলা
ভালোবাসি তোমায় যতটা না নিজেকে বাসি ভালো ।

না বলা কথা গুলো কখনো হয়না বলা,
একি পথে চলতে চেয়েও হয়না চলা ।
মাঝ পথ থেকে হতে হয়
দু'জনের দুইদিকের পথিক ,
তবুও ইচ্ছে হয় একি চলতে

ইচ্ছে গুলো আমার বড্ড অগোছালো
তাই হয়তো ইচ্ছেতেই আবদ্ধ ,
অর্ধ পূরণ হয়েও আবার সবি হারালো
নিসঙ্গ আমি আজ সত্যিই নিস্তব্ধ ।

মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬

তরঙ্গহীন জল
জোনাকী আক্তার

আনমনে আকাশ পানে চেয়ে
গুণা হত কত তারা হাতে হাত রেখে,
কখনোই ভাবিনি তোমারও ঠাঁই হবে
তারাগুলোর সাথে আকাশের এক কোণে ॥

স্বর্থপর তুমি একবারও ভাবোনি
তোমাকে ছাড়া কতটা সঙ্গীহীন আমি ,
কত বার ভাবি তোমার পথেই যাব চলে
মিছে ভালোবাসার অন্তরালে ॥

সুখগুলোও আজ বিষাদে পূর্ণ
চোখের কোণ থেকে ঝরে অশ্রু হয়ে
নিসঙ্গতার কষ্টগুলো ভালোবাসা হারানোর বেদনায় ॥

বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬

বিষন্নতার ছোঁয়া
জোনাকী আক্তার



বিষন্নতার বিষ ছুড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র
ছেঁয়ে গেছে জীবনের প্রতিটি প্রকোষ্ঠে,
কাক ডাকা ভোরগুলো এখন আর নতুন উদ্দীপনা নিয়ে আসেনা
রাতগুলো কেটে যায় নির্ঘুম ,
ভোরের সজীবতা আর উপভোগ করা হয় না ।
সবকিছুই যেন মৃত্যুপরীর মত মনমরা । প্নাণের চাঞ্চল্যতা হারিয়ে গেছে ,
কোনো এক অজানা কারনে ।
মৃতপ্রায় দেহ নিয়ে অবিরত বাঁচা-মরার সংগ্রামে লিপ্ত ।
তবুও বলবো ভালো আছি ,
যতটা ভালো তুমি রেখেছো ।
তার থেকেও শতগুণ ভালো আছি আমি ।
একাকী জীবন
জোনাকী আক্তার
আজ আমি ভালো নেই
বড্ড একা শুধু তোমার শূণ্যতায়,
ভাবিনি একসাথে চলার মাঝপথে
হাতটি ছেড়ে দিবে অবেলায় ।
যদি কোন ভুল থাকে অগোচোরে আমার
শুধরে নেওয়ার সময়তো দিতে পারতে একটিবার ,
কিছু না বলেই একা রেখে চলে
একবারও ভাবোনি তুমি, তোমাকে ছাড়া কতটা নি:স্ব অন্তরালে ।
সবার থেকে দূরে সরিয়ে
তুমি চলে গেছো আজ বহুদূরে ,
না পারি আজ একা চলতে
না পারি সব ভুলে নতুন করে বাঁচতে ,
ভালোবাসাহীন জীবন কতটা দুর্বিষহ
তোমার হয়তো জানা নেই ,
জানতে ইচ্ছে করে সত্যিই কি তুমি ভালো আছো
নাকি ভালো থাকার মুখোশে আবৃত ?

শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৬

অবলা
জোনাকী আক্তার

বিধাতার দিয়েছে সম-অধীকার
শুধু দেয়না পুরুষশাসিত সমাজ ,
মেনে নিতে বাধ্য করে তাদের মতবাদ
কখনো যদি কেউ করে প্রতিবাদ
দিতে হয় জান , নয়তো হতে হয় সমাজচ্যুত ।
বলো আর কত কাল দাবিয়ে রাখবে অবলা বলে
আর কত করবে বিদ্ধ নির্যাতনের ,
কত কাল ঝরাবে তোমরা পরাজয়ের জল
আর কত বন্ধি থাকবে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে অবলার দল ?
না করে আঘাত , বাড়িয়ে দাও হাত
অবলাও হতে পারে তোমাদের সম ,
যদি দাও সুযোগ তাদের সামনে এগুবার
শুনবে সেদিন নারী আর নারীত্বের জয়ের ধ্বনি ।

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬


~~~~~~পথ শিশু
~~~~~~~~জোনাকী আক্তার

জন্মটা আমার কোথায় জানা নেই ,
তবে এইটুকুই মনে হয় মা
তোমার কুল জোড়েই এসেছিলাম
এই নিষ্ঠুর-নির্দয় , ক্ষুধা আর তৃষ্ণায়পূর্ণ পৃথিবীতে ।

পথে পথে ঘুরি আর জীবিকা খুঁজি
যেখানে রাত্রি নামে , সেখানেই দু'চোখ বুজি ,
আপন আবাস আর আপন জন বলতে কোনটাই নেই
শুধু আমি আছি আর আছে বিশাল আকাশ
খোলা আকাশটার নিচেই আমার স্থায়ী নিবাস ।

মাঝে মাঝেই চোখের কোণে অশ্রু জমে যায়
যখন দেখি মা নামের মানুষটি ,
তার সন্তানকে জড়িয়ে নেই পরম স্নেহ আর মমতায়
জানো তো মা , আমারও অনেক ইচ্ছা জাগে
তোমার ভালোবাসা -আদর স্নেহে ভাগ বসায় ।

যখন ক্ষুধার যন্ত্রণায় দ্বারে দ্বারে ঘুরি
কত লোকে পায়ে যে পড়ি
কেউ দেয়না এক মুঠো অন্ন তুলে মুখে আমার
রাস্তার পাশে ফেলা উচ্ছিষ্ট খাবারগুলোই জুটে অভাগার ॥
দিন শেষে যখন চারপাশ নিস্তব্ধ করে রাত নামে
সবাই যখন শান্তির নিদ্রায় ঢলে পড়ে ,
আমারও ইচ্ছা করে সারা দিনের ক্লান্তি ভুলে ,
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হতে মাথা রেখে তোমার কুলে ।

ভাগ্যটা আমার হয়ত একটু বেশিই খারাপ
তাই হয়তআমি তোমাদের থেকে দূরে ,
জানি কখনোই আর হবেনা ফিরা
তোমাদের আদর-স্নেহ আর ভালোবাসার নীড়ে ॥

কেন এমন হয় জোনাকী আক্তার ************************** ভাঙা গড়ার খেলায় নিজেকে বারবার গড়ি, দু:খ-সুখের ভেলায় ঘুম ভাঙার মতই কেটে যায় সুখের রেশ...