মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬

তরঙ্গহীন জল
জোনাকী আক্তার

আনমনে আকাশ পানে চেয়ে
গুণা হত কত তারা হাতে হাত রেখে,
কখনোই ভাবিনি তোমারও ঠাঁই হবে
তারাগুলোর সাথে আকাশের এক কোণে ॥

স্বর্থপর তুমি একবারও ভাবোনি
তোমাকে ছাড়া কতটা সঙ্গীহীন আমি ,
কত বার ভাবি তোমার পথেই যাব চলে
মিছে ভালোবাসার অন্তরালে ॥

সুখগুলোও আজ বিষাদে পূর্ণ
চোখের কোণ থেকে ঝরে অশ্রু হয়ে
নিসঙ্গতার কষ্টগুলো ভালোবাসা হারানোর বেদনায় ॥

বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬

বিষন্নতার ছোঁয়া
জোনাকী আক্তার



বিষন্নতার বিষ ছুড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র
ছেঁয়ে গেছে জীবনের প্রতিটি প্রকোষ্ঠে,
কাক ডাকা ভোরগুলো এখন আর নতুন উদ্দীপনা নিয়ে আসেনা
রাতগুলো কেটে যায় নির্ঘুম ,
ভোরের সজীবতা আর উপভোগ করা হয় না ।
সবকিছুই যেন মৃত্যুপরীর মত মনমরা । প্নাণের চাঞ্চল্যতা হারিয়ে গেছে ,
কোনো এক অজানা কারনে ।
মৃতপ্রায় দেহ নিয়ে অবিরত বাঁচা-মরার সংগ্রামে লিপ্ত ।
তবুও বলবো ভালো আছি ,
যতটা ভালো তুমি রেখেছো ।
তার থেকেও শতগুণ ভালো আছি আমি ।
একাকী জীবন
জোনাকী আক্তার
আজ আমি ভালো নেই
বড্ড একা শুধু তোমার শূণ্যতায়,
ভাবিনি একসাথে চলার মাঝপথে
হাতটি ছেড়ে দিবে অবেলায় ।
যদি কোন ভুল থাকে অগোচোরে আমার
শুধরে নেওয়ার সময়তো দিতে পারতে একটিবার ,
কিছু না বলেই একা রেখে চলে
একবারও ভাবোনি তুমি, তোমাকে ছাড়া কতটা নি:স্ব অন্তরালে ।
সবার থেকে দূরে সরিয়ে
তুমি চলে গেছো আজ বহুদূরে ,
না পারি আজ একা চলতে
না পারি সব ভুলে নতুন করে বাঁচতে ,
ভালোবাসাহীন জীবন কতটা দুর্বিষহ
তোমার হয়তো জানা নেই ,
জানতে ইচ্ছে করে সত্যিই কি তুমি ভালো আছো
নাকি ভালো থাকার মুখোশে আবৃত ?

শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৬

অবলা
জোনাকী আক্তার

বিধাতার দিয়েছে সম-অধীকার
শুধু দেয়না পুরুষশাসিত সমাজ ,
মেনে নিতে বাধ্য করে তাদের মতবাদ
কখনো যদি কেউ করে প্রতিবাদ
দিতে হয় জান , নয়তো হতে হয় সমাজচ্যুত ।
বলো আর কত কাল দাবিয়ে রাখবে অবলা বলে
আর কত করবে বিদ্ধ নির্যাতনের ,
কত কাল ঝরাবে তোমরা পরাজয়ের জল
আর কত বন্ধি থাকবে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে অবলার দল ?
না করে আঘাত , বাড়িয়ে দাও হাত
অবলাও হতে পারে তোমাদের সম ,
যদি দাও সুযোগ তাদের সামনে এগুবার
শুনবে সেদিন নারী আর নারীত্বের জয়ের ধ্বনি ।

কেন এমন হয় জোনাকী আক্তার ************************** ভাঙা গড়ার খেলায় নিজেকে বারবার গড়ি, দু:খ-সুখের ভেলায় ঘুম ভাঙার মতই কেটে যায় সুখের রেশ...