রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮

চলো ফিরে যাই
জোনাকী আক্তার
-------------------------------------
ঝুমঝুম শব্দে মনের কোণে ইচ্ছা জাগে ফিরে যাই
ফেলে আসা বাদলা দিনের শৈশবের ভেলায়,
অজস্র দিন রয়েছে জমে স্মৃতির পাতায়
বার্ধক্য পেরিয়েও দিনগুলো ভুলা কি যায় ?
মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাড়ার ছেলেমেয়ে বেঁধে জটলা,
বিলে-ঝিলে ফুটা লাল- সাদা শাপলা তুলা,
কখনো বা ভরা পুকুরে ডুব-সাঁতার খেলা
কর্দমাক্ত রাস্তা পিচ্ছিল করে কেটে যেত বাদল বেলা।
স্কুল থেকে ইচ্ছা করে ফিরতাম ঘরে কাকভেজা হয়ে
কি যে মজা পেতাম খুঁজে আজলা ভরে বাদলের পানি দিয়ে,
দুষ্টুমী করে ছুঁড়ে মেরে একে অন্যকে ভিজিয়ে
লেগে যেত প্রতিযোগীতা কে দিবে পানি কাকে ডিঙিয়ে।
বাদলে অতি ভিজার ফলে জ্বরকে আর কে রুখে
একদিকে বাদলের ঢল নামতো বাইরে অন্যদিকে মায়ের চোখে
ভোরে ফুটে উঠতো নির্ঘুম রাতের ক্লান্তির ছাপ মায়ের চোখে মুখে
চোখ মেলে তাকাতেই দিতেন বকনি কপালে হাত রেখে।
ফিরে পেতে চাই এমনই এক দিন, যে দিন হবে অমলিন
যে দিন হবে শৈশবের মত উদ্যম আর বাঁধনহীন,
তুমি, আমি, আমরা সবাই হয় না যতই প্রবীণ
চলো সবাই মিলে স্মৃতির ফ্রেমে আটকে দেই আরও একটি বাদলা দিন।

সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮

মূর্দা
জোনাকী আক্তার
*****************************
আজ বাদে কাল হয়তো হবে মূর্দা
কিসের এতো দাম্ভিকতা -
কিসের এতো অহংকার ?
এক সেকেণ্ডের নাই নি:শ্বাসের বিশ্বাস
ভুলে গিয়ে যেন গড়ছো টাকার পাহাড়,
কি হবে এতো ধন-দৌলতের ?
রেখে যেতে হবে সবই।
চোখ বুঝলেই আঁধার দেখবে
কেউ হবে না সঙ্গী তোমার,
যাকে আজ নয়নের মণি করে রেখেছো
সে শুধু দু'ফোটা জলই ফেলবে।
হয়তো তোমার স্নেহশোকে মূর্ছা যাবে
একদিন, দুইদিন অনাহারে থাকবে,
তারপর আস্তে আস্তে ভুলে যাবে
সে কারও চোখের মণি ছিলো।
তোমার কষ্টার্জিত অর্থ পানির মত করবে ব্যয়
তখন তোমার নামও কেউ আর নিবে না,
কি লাভ এতো কষ্ট, পাপচার ,অন্যায় করে-
কারো বুকে লাথি মেরে অর্থাপার্জন করা ?
যেখানে বসতটাই আমাদের চুরাবালিতে,
কখন যে হারিয়ে যাবো সে অতলে ,
কারো জানার ছিঁটেফুটাও সাধ্য নেই
নেই সাধ্য বসত বানাতে চুরাবালি থেকে একটু দূরে।
চলনা সবাই বন্দনা করি, হে খোদা !
দাও হিম্মত , করো পাপ মোচন
দেখাও সে পথ, যে পথে তোমার দেখা পাই
মউত যেন হয় সবার ঈমানের সহিত।

কেন এমন হয় জোনাকী আক্তার ************************** ভাঙা গড়ার খেলায় নিজেকে বারবার গড়ি, দু:খ-সুখের ভেলায় ঘুম ভাঙার মতই কেটে যায় সুখের রেশ...